কবিতা

ক্ষত



রমেশ কর্মকার


ওগো সাধন সঙ্গিনী আকাশ তো এখন লাল
তোমার রজস্রাববৎ।
এখানে যত লজ্জা সূর্য দেখেছে,
দেখেছে সাগরের বুক,
অতি অবহেলায় তাকে চূর্ণ করে উড়িয়ে দিলে
আকাশের বুকে!
বুকের মাঝে একটি নিশুত দিল ধরা।
কোনো অমরাবতীর ঐশ্বর্য্য নয়,
নয় কোনো মেনকা কিংবা রম্ভার পদস্খলন।
তবু... তবু এ কোন মহস্পর্শের ব্রহ্মক্ষন!
দীন করে দিয়ে দিনের আলোকে
এলে, এলে, এলে তুমি প্লাবনের মতো,
ঝঞ্ঝার মতো, প্রলয়োন্মত্ত প্রনয়ীর বেশে।
সে সংবাদ বিলিয়েছিলে জোনাকির মুখে।
চাতকের মুখে, প্রাচীন জাতকের বুকে।
সব... সব জমা হয়ে আছে এই বল্মির স্তুপে।
এই কালান্তরের সাক্ষী বটের
কোটরের ভাঁজে ভাঁজে।
সাতকাহন ঘেঁটে যে বর্ণ প্রলেপ লাগালে আমার সর্বাঙ্গ জুড়ে।
এখন তারা গভীর - আরো আরো গভীর
কৃষ্ণ বিবরের দিকে টেনে নিয়ে চলেছে আমায়।
সেখানেই তুমি আমি আর এক ঝাঁক শুকনো কাশফুল।
জীবন মৃত্যু শৃঙ্গারের ভূমিতে ডুবে যাই অবিরত।
জানিনা জানিনা জানিনা সে প্রেম নাকি সুগভীর ক্ষত!
ওগো সাধন সঙ্গিনী
একি প্রেম নাকি শাশ্বত ক্ষত!


চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।