আরে অনিমেষ যে,
ও না না তুমি তো অনিকেত,
বার বার ভুল করে বসি,
জানো অনিকেত বড্ডো ভাবনা হয় তোমার জন্য,
এই যে অনিশ্চিত ভবঘুরে জীবনের জন্য,
একটু স্থির হতে পারলে না, অথচ সর্বক্ষণ বলে গেলে গুছোনোর কথা,
দেখে গেলে ঘর বাঁধার স্বপ্ন,
তোমার মতো অনিমেষও আমার কোলে মাথা রেখে আকাশ দেখতো,
তোমার মতো ই বলতো
ওই আকাশের বিশালতা জানো, - অনন্ত,
আমাদের ঘরে ওরকম ভালোবাসা থাকবে,
পারবে দিতে তুমি?
আমি হেসে বলি, পাগল নাকি তুমি,
আকাশ কোথায় পাবো, সে যে বললে অসীম,
সীমায় ধরা দেবে কি সে?
আমি এক বুক ভালোবাসা দিতে পারি,
সেটা নেওয়ার
জন্যও তো ঘর বাঁধতে হবে গো।
এই যে অনিকেত তুমি বলছো যেমন,
আমার সঙ্গে থাকলে স্বস্তিতে নিশ্চিন্তে থাকো।
কোনো দুশ্চিন্তা অস্থিরতা তোমায় ব্যাকুল করে তোলে না,
অনিমেষও ঠিক এমনটাই বলতো,
আরও বলতো আমার থেকে নাকি ভালোবাসতে শিখেছে।
অবাক চোখে চেয়ে থাকতে থাকতে সূর্যাস্ত থেকে
প্রহর গুনতে গুনতে ভোরের আলো ফুটতো,
কখনো ক্লান্ত হতো না,
অবাক করে দিয়ে বলতো, তোমায় আমি 'তিল' বলে ডাকবো,
দেখো কান্ড, 'তিলোত্তমা' এতো সুন্দর নামটা,
কি অদ্ভুত কথা তোমার অনিমেষ,
আচ্ছা অনিকেত,
তুমি কি এখনই চলে যাবে,
হঠাৎ না বলে চলে যাওয়া তোমাদের সবার অভ্যেস, তুমি যতই বলো
তোমার সঙ্গে কানামাছি আমি খেলবো না,
তোমাকে বলতে বাধা নেই,
মাঝে মাঝেই অনিমেষ বলতো,
তিল, চোখটা বন্ধ করো, দেখবে খুলে আমি নেই,
এই রকমই কানামাছি খেলেছিল হঠাতই একদিন আমার সাথে!
আচ্ছা অনিকেত, দিন দিন এতো অগোছালো হচ্ছ কেন?
তোমার জন্য আমার দুঃখ হয়, এই বলো হাজার সুখের চাবিকাঠির সন্ধান পেয়েছ,
সেটা আজও জানলাম না - কি?
রূপকথার সাগরে ভাসছো,
স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো,
তাও তো তুমি বলবে এবার, স্বপ্ন ই তোমায় বাঁচিয়ে রেখেছে।
অনিমেষের ও একই কথা ছিল, জ্যোৎস্না রাতে নৌকা
বিহারে যাবে, তারা গুনতে গুনতে স্বপ্নে ভাসবে।
অনিকেত, জ্যোৎস্নার রাতে নীল নির্জনে স্বপ্নে বিভোর হতে আমারও ইচ্ছে ছিল,
অনিকেত, আমরা পারিনা সে স্বপ্ন দেখতে?
অনিমেষের কথা ভেবেই না হয় সে স্বপ্নে আমরা বিভোর হই।
ক্ষতি কি তাতে!
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।