বাঁশির ঠিকানা অচেনা বাঁক ছুঁয়েছে,
তমাল, পিয়াল, নাই বা জানাল কেউ,
বালুতট জোড়া স্বপ্নেরা ঘুমিয়েছে,
সুর সরে গেছে, ফিরে গেছে তাই ঢেউ।
খেয়ালি দীপটা মরে গেছে কথা দিয়ে,
পারাপার সাঁকো ভেঙেছে বিরহ মেনে,
ভুলের চাঁদোয়া চাঁদ রেখেছে সরিয়ে,
স্মৃতি পিয়ে আনে বসন্তে মেঘ টেনে।
ঐ পথে যদি বাঁশিটার বাড়ি চিনে
ডেকে নিতে চায় নিরলস অভিমান,
কথাহারা সব আখরের নদী কিনে
শ্রাবণের মতো গায় পাড়ভাঙা গান।
স্বরলিপি বাঁধে ভাঙন বাঁচিয়ে নিতে,
গান গায় একসাথে পথ চলা মাঝি,
অনুভব দিতে আবার পুরোনো ভিতে,
হলোই না হয় এইটুকু কারসাজি।
কে যেন বাজায় নীরব নিমন্ত্রণ
অন্বেষণের জোয়ারি ঢেউয়ের সুরে,
যমুনায় লেগে আদিম অনুরণন,
ব্যথা বেজে চলে কালের অন্তঃপুরে!
আষাঢ়ে আবার রথে চড়ে মেঘ বুঝি,
নীল খুঁজে খুঁজে সাগরী সাজার সাধ
মিটে যায় ফিরে পেয়ে ফুরোনো সে পুঁজি,
বৃষ্টিরা ওকে খুঁজে হলো উন্মাদ।