প্রবন্ধ ও নিবন্ধ

স্বামীজী ও বিদেশী বিজ্ঞানী



ডঃ অমিয়কুমার মজুমদার


স্বামী বিবেকানন্দের বিজ্ঞান প্রীতির উৎস অনুসন্ধান করতে গেলে বিফল হতে হয়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বাল্যকালে পিতা দেবেন্দ্রনাথের কাছে বিজ্ঞানচর্চার পাঠ নিয়েছিলেন। পরে গৃহশিক্ষায় বিজ্ঞানের প্রাধান্য কম ছিল না। এবং পরবর্তী অধ্যায়ে জগদীশচন্দ্র প্রমুখ বিজ্ঞানীদের সাহচর্য তাঁকে বিজ্ঞানমুখী করে তুলতে সহায়তা করেছে একথা বললে অস্বাভাবিক হবে না। কিন্তু বিবেকানন্দের এ ধরনের কোন সুযোগ ছিল না। তবুও তাঁর বিজ্ঞানপ্রীতি ক্রমেই তীব্র হয়ে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। একথা সত্য যে, তিনি কলেজে বিজ্ঞান পড়েননি, কিন্তু কি বিদেশে, কি স্বদেশে, বিজ্ঞানীদের সঙ্গে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন। বলাবাহুল্য তিনি অধ্যয়ন এবং সহজাত উপলব্ধির বলে বিজ্ঞানের তত্ত্বের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।

আমেরিকায় এবং লণ্ডনে অনেক বিজ্ঞানীর সংস্পর্শে তিনি এসেছেন। সকলের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার অনুলিপি নেই। চিঠিপত্রের মাধ্যমে জানা যায় কয়েকজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা।

শিকাগোর ধর্মমহাসভায় ম্যাকসিম-কামানের আবিষ্কর্তা হিরাম ম্যাকসিম [Sir Hiram Stevens Maxim (1840-1916)] স্বামীজীর অধিকাংশ বক্তৃতার সময় উপস্থিত থাকতেন। তাঁর সঙ্গে স্বামীজীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। বিজ্ঞানী ম্যাকসিম স্বামীজীর সম্বন্ধে একবার বলেছিলেন [১] -

"A few years ago there was a Congress of Religion at Chicago. Many said that such a thing would be impossible. How could any understanding be arrived at where each particular party was absolutely right and all the others were completely in the wrong? Still the Congress saved the American people more than a million dollars a year, not to mention many lives abroad. And this was all brought about by one brave and honest man. When it was announced in Calcutta (?) that, there was to be a Congress of Religions at Chicago, some of the rich merchants took the Americans at their word, and sent them a ...monk, Vivekananda, from the oldest monastery in the world. This monk was of commanding presence and vast learning, speaking English like a Webster. The American Protestants, who vastly outnumbered all others, imagined that they would have an easy task, and commenced proceedings with the greatest confidence, and with the air of 'Just see me wipe you out'. However, what they had to say was the old commonplace twaddle that had been mouthed over and over again in every little hamlet from Nova Scotia to California. It interested no one, and no-one noticed it.

When, however, Vivekananda spoke, they saw that they had a Napoleon to deal with. His first speech was no less than a revelation. Every word was eagerly taken down by the reporters, and telegraphed all over the country, when it appeared in thousands of papers. Vivekananda became the lion of the day. He soon had an immense following. No hall could hold the people who flocked to hear him lecture. They had been sending silly girls and half-educated simpletons of men and millions of dollars to Asia for years, to convert the poor benighted heathen and save his alleged soul; and here was a Specimen of the unsaved who knew more of philosophy and religion than all the persons and missionaries in the whole country. Religion was presented in an agreeable light for the first time to them. There was more in it than they had ever dreamed; argument was impossible. He played with the persons as a cat plays with a mouse. They were in a state of consternation. What could they do? What did they do? What they always do - they denounced him as an agent of the devil. But the deed was done; he had sowed the seed, and the Americans commenced to think. They said to themselves; 'Shall we waste our money in sending missionaries who know nothing of religion, as compared with this man, to teach such men as he 'No!' And the missionary income fell off more than a million dollars a year in consequence."

[কয়েক বছর আগে শিকাগোতে ধর্মমহাসম্মেলন হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন এ ধরনের সম্মেলন হওয়া অসম্ভব। যেহেতু প্রতিটি সম্প্রদায় নিজেদের মতকে অভ্রান্ত ও অপরের ধর্মমতকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত মনে করেন, সেখানে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় কেমন ক'রে? তাহলেও এই সম্মেলন আমেরিকাবাসীদের বছরে এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাঁচিয়ে দিয়েছিল এবং অনেককে বিদেশে গিয়ে বাস করবার কষ্ট থেকে তো বটেই। এবং তা হয়েছিল একজন সাহসী ও সৎ-মানুষের জন্য। যখন কলকাতায় (?) ঘোষিত হলো যে শিকাগোতে এক ধর্মমহাসম্মেলন হবে ...তখন [অন্যান্যদের মধ্যে] পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মসম্প্রদায় থেকে বিবেকানন্দ এলেন। এই সন্ন্যাসীর আজ্ঞাব্যঞ্জক চেহারা, অগাধ পাণ্ডিত্য এবং ইংরেজী বলেন ওয়েবষ্টারের মতো। সমবেত সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকার প্রোটেস্ট্যান্ট সম্প্রদায় মনে করেছিলেন সম্মেলনের কাজ সহজ এবং একারণেই তাঁরা গভীর আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে সভার কাজ পরিচালনা করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের ভাবখানা ছিল অনেকটা এরকম - 'আমার কাছে একবার এস, মুহূর্তেই উবে যাবে।' যাহোক, যখন তাঁরা তাঁদের সেই পুরোনো বুলি কপচাতে লাগলেন, যা নোভাস্কোটিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত প্রতিটি ছোট কুটিরে বারেবারে উচ্চারিত হচ্ছিল তখন শ্রোতারা কেউ তেমন গা করেনি, কারুর তেমন আগ্রহ হয় নি।

কিন্তু যখন বিবেকানন্দ বলতে আরম্ভ করলেন তখন তাঁরা দেখলেন যে এক নেপোলিয়নের মুখোমুখী হতে হবে তাঁদের। তাঁর (স্বামীজীর) প্রথম বক্তৃতা যেন ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ। প্রতিটি শব্দ অতি আগ্রহের সঙ্গে লিখে নিলেন সাংবাদিক-সঙ্কেতলিপিকারের দল। তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লো টেলিগ্রাফের তারের মধ্য দিয়ে আর তা প্রকাশিত হলো হাজার হাজার সংবাদপত্রে। বিবেকানন্দ হয়েছিলেন দিনের নর-কেশরী। ক্রমে তাঁর অনুগামীর সংখ্যা বেড়ে গেল। যেখানেই তিনি বক্তৃতা দিতেন সেই সব হল শ্রোতার ভিড় সামলাতে পারতো না। এরা (আমেরিকাবাসী) বছরের পর বছর ধরে বাজে মেয়েদের ও অর্দ্ধশিক্ষিত নির্বোধ পুরুষদের লক্ষ লক্ষ ডলার দিয়ে পাঠিয়েছে এশিয়ার দরিদ্র, হতভাগ্য পাপীদের উদ্ধার করবার জন্য, আজ সেই নিরুদ্ধারিত মানব সম্প্রদায়ের একজন এখানে এসেছেন যিনি এই সমগ্র দেশের সমস্ত মানুষ ও মিশনারীদের চেয়ে ধর্ম ও দর্শন বিষয়ে অনেক বেশি জানেন। এই প্রথম তারা ধর্মের সর্বজনগ্রাহ্য ব্যাখ্যা শুনল। এসব তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। তাঁর (স্বামীজীর) বিরুদ্ধে কোন যুক্তিই অসম্ভব। তিনি মানুষগুলিকে নিয়ে এমন ভাবে খেলা করতে আরম্ভ করলেন যেমন বেড়াল ইঁদুরকে নিয়ে খেলে। তারা নির্বাক। তারা কি-ই বা করতে পারে? তাদের কি করবারই বা আছে? তারা (মিসনারী) সবসময় যা করে থাকে তাই করলো - তারা তাঁকে (বিবেকানন্দকে) 'শয়তানের দূত' বলে অপপ্রচার করতে লাগলো"।]


স্যার হিরাম ম্যাকসিম (Sir Hiram Stevens Maxim)।

কিন্তু ততক্ষণে কাজ শেষ। তিনি (স্বামীজী) বীজ বপন ক'রে ফেলেছেন এবং আমেরিকাবাসীরা ততক্ষণে ভাবতে শুরু করেছেন। তাঁরা (আমেরিকাবাসী) নিজেরা বলাবলি করতে লাগলেন -
"আমরা কি মিশনারিদের পাঠিয়ে টাকা নষ্ট করবো - যারা এই মানুষটির (বিবেকানন্দ) তুলনায় ধর্ম বিষয়ে কিছুই জানে না আর তাঁরই মত মানুষদের ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান দিতে যাবে?" 'না!' এর ফলে স্বভাবতঃই মিশনারীদের আয় বছরে এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক'মে গেল। [*]

এই কথাগুলি থেকে স্বামীজীর প্রতি ম্যাকসিমের মনোভাব টের পাওয়া যায়। স্বামীজীও ম্যাকসিম সম্পর্কে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন [২] -

"প্যারিস নগরী হতে বন্ধুবর ম্যাকসিম নানাস্থানে চিঠিপত্র যোগাড় করে দিয়েছেন, যাতে দেশগুলো যথাযথ রকমে দেখা যায়। ম্যাকসিম - বিখ্যাত 'ম্যাকসিম' গানের নির্মাতা, - যে তোপে ক্রমাগত গোলা চলতে থাকে - আপনি ঠাঁসে, আপনি ছোঁড়ে - বিরাম নাই। ম্যাকসিম আদতে আমেরিকান; এখন ইংলণ্ডে বাস, তোপের কারখানা ইত্যাদি। ম্যাকসিম তোপের কথা বেশী কইলে বিরক্ত হয়, বলে, 'আরে বাপু, আমি আর কিছুই করিনি ঐ মানুষ-মারা কলটা ছাড়া?' ম্যাকসিম চীন-ভক্ত, ভারত-ভক্ত ধর্ম ও দর্শনাদি সম্বন্ধে সুলেখক। আমার বই-পত্র পড়ে অনেকদিন হতে আমার উপর বিশেষ অনুরাগ - বেজায় অনুরাগ।"

নিকোলা টেসলা [Nikola Tesla (1856-1943)]

ইতিপূর্বে এক অধ্যায়ে বিখ্যাত তড়িৎ বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলার সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের পরিচয়ের কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞানী প্রবর টেসলার সঙ্গে তাঁর চিন্তার আদান প্রদান হতো এমন কথা জানা যায়। টেসলা স্বামীজী সম্বন্ধে কি লিখেছেন বা মন্তব্য করেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি আমার পক্ষে। তবে স্বামীজীর এক পত্রে টেসলা প্রসঙ্গ আছে। নিউইয়র্কে থাকাকালীন স্বামীজী সারা বার্নহার্ড অভিনীত 'বুদ্ধ জীবনী' দেখতে গিয়েছিলেন।

দর্শকদের মধ্যে স্বামীজীকে দেখে সারা বার্নহার্ড নিজেই তাঁর সঙ্গে আলাপের জন্য আগ্রহী হন। স্বামীজীর পরিচিত কোন এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে সাক্ষাতের ব্যবস্থা হয়। এই সময়ে তিনি ছাড়া বিখ্যাত গায়িকা মাদাম মোরেল এবং 'শ্রেষ্ঠ বৈদ্যুতিক' নিকোলা টেসলা ছিলেন। এই সাক্ষাতের বিষয়টি স্বামীজী ই. টি. স্টার্ডিকে লিখে জানান।


নিকোলা টেসলা (Nikola Tesla)।

"মাদাম (বার্নহার্ড) খুব সুশিক্ষিতা মহিলা এবং দর্শনশাস্ত্র অনেকটা পড়ে শেষ করেছেন। এম. মোরেল ঔৎসুক্য দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু মিঃ টেসলা বৈদান্তিক 'প্রাণ' ও 'আকাশ' এবং 'কল্পের' তত্ত্ব শুনে মুগ্ধ হলেন। তাঁর মতে আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কেবল এই তত্ত্বগুলিই গ্রহণীয়। 'আকাশ' ও 'প্রাণ' আবার জগদ্ব্যাপী মহৎ, সমষ্টি-মন, ব্রহ্মা বা ঈশ্বর থেকে উৎপন্ন হয়। মিঃ টেসলা মনে করেন, তিনি গণিতের সাহায্যে দেখিয়ে দিতে পারেন যে, জড় ও শক্তি উভয়কে অব্যক্ত শক্তিতে পরিণত করা যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের এই নূতন গণিত মূলক প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখবার জন্য তাঁর কাছে আমার যাবার কথা আছে।

তা যদি প্রমাণ হয়ে যায়, তবে বৈদান্তিক সৃষ্টি-বিজ্ঞান দৃঢ়তম ভিত্তির উপর স্থাপিত হল। আমি এখন বেদান্তের সৃষ্টি-বিজ্ঞান ও পরলোকত্ব নিয়ে খুব খাটছি। আমি স্পষ্টই আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে বেদান্তের ঐ তত্ত্বগুলির সম্পূর্ণ ঐক্য দেখছি, এদের একটা পরিষ্কার হলেই সঙ্গে সঙ্গে অপরটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি পরে প্রশ্নোত্তরাকারে এই বিষয়ে একখানা বই লিখব মনে করছি। [*] তার প্রথম অধ্যায়ে থাকবে সৃষ্টি-বিজ্ঞান। তাতে বেদান্তমতের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের সামঞ্জস্য দেখান হবে।" [৩]

এই চিঠি থেকে স্বামীজীর সম্বন্ধে টেসলার মনোভাব বোঝা যায় এবং তাঁর উপরও বিজ্ঞানী প্রবরের প্রভাব যে পড়েছে তাতে সন্দেহ নেই।

স্বামীজী-ভাতা মহেন্দ্রনাথ দত্ত এসম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আভাস দিয়েছেন। তিনি যখন লণ্ডনে স্বামীজীর সঙ্গে ছিলেন তখন স্বামীজী একদিন তাঁর প্রচার সম্বন্ধে আমেরিকাবাসীদের মনোভাব কেমন তা জিজ্ঞাসা করেন তাঁর অনুগত ভক্ত মিঃ গুডউইনাকে। মহেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষায় [৪] -

"স্বামীজী বলিতে লাগিলেন, আমেরিকায় বেদান্ত প্রচারে কে কে সহায় হবে? - টেসলা ও এডিসনের কি ভাব? গুডউইন বলিলেন, টেসলা সপক্ষ হবে, কিন্তু এডিসনের সহিত আদায়-কাঁচকলায়।"

লর্ড কেলভিন ও অধ্যাপক হেলমহোলৎস্ [Lord Kelvin (1824-1907) & Hermann von Helmholtz (1821-1894)]


লর্ড কেলভিন (Lord Kelvin)।

১৮৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শিকাগো ধর্মমহাসম্মেলনের পরে স্বামী বিবেকানন্দ তড়িৎ যন্ত্রের উদ্ভাবক বিখ্যাত প্রফেসর এলাইশা গ্রে'র 'হাইল্যান্ড পার্ক' নামে সুদর্শন ভবনে এক জনসভায় আমন্ত্রিত হন। স্বামীজীকে সম্বর্ধনা জানাবার উদ্দেশ্যেই এই সভার আয়োজন হয়। এখানে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীরা সমবেত হয়েছিলেন। তখন সেখানে 'ইলেকট্রিক্যাল কংগ্রেস'-এর অধিবেশন হয়েছিল। ফলে বিশ্বের নানা স্থান থেকে আগত বিজ্ঞানীশ্রেষ্ঠদের সঙ্গে আলাপিত হওয়ার সুযোগ এসে গিয়েছিল। বিখ্যাত তড়িৎ বিজ্ঞানী স্যার উইলিয়ম টমসন (Sir William Thomson) (যিনি পরে লর্ড কেলভিন নামে বিখ্যাত হন), অধ্যাপক হেলমহোলৎস্, অ্যারিটন হপিট্যালিয়া প্রভৃতি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীরা স্বামীজীর তড়িৎ সম্বন্ধীয় জ্ঞান দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন এবং বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনায় তাঁর চমৎকার উত্তর প্রত্যুত্তর শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন।


হেরম্যান ভন হেলমহোলৎস্ (Hermann von Helmholtz)।


তথ্যসূত্রঃ

১) Li Hung Chang's Scrap Book: by Sir Hiram Stevens Maxim. London, Watts & Co., 1913.
* ম্যাকসিমের বক্তব্যের ভাবানুবাদ - লেখক কৃত।
২) পরিব্রাজক।
* এ ভাবে তিনি বই লিখে যেতে পারেননি - লেখক।
৩) পত্রাবলী, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬।
৪) মহেন্দ্রনাথ দত্তঃ লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ (১ম)।

চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।