বেড়ার ওপারে, তোমরা বন্ধু আছ যারা
অশান্ত সময়ে কিছু উদ্বেগ নিয়ে আছ জানি
যে যে বন্ধু আবেগের ডাকে দিলে সাড়া
এও জানি স্বপ্নে দেখ আগামীর দৃপ্ত রাজধানী।
জেহাদ দেখিনি আমি, কোনোদিন দেখিনি বিপ্লব
স্রোতের বিরুদ্ধে বওয়া তরণীর দশা আছে জানা
এই যে ছড়িয়ে আছে ইতিউতি মানুষের শব
তারা বুঝি গড়ে দেবে প্রজন্মের বাঁচার ঠিকানা!
ধর্মের নিক্তিতে ভাগ হয়েছিল একদিন দেশ
রক্তদাগ লেগেছিল সবুজ এ বাংলার বুকে
যেটুকু বা পড়েছিল সখ্যের ক্ষুদ্র অবশেষ
ভুলের মাশুল দিতে তাও আজ যাবে না তো চুকে!
থাকে না একান্ত সব আভ্যন্তরীণ অনুভব
কাঁটাতার ছিঁড়ে তারা টোকা দেয় প্রতিবেশী দ্বারে
ওপারে যা মানুষের তীব্র কলরব
ব্যথা দেয় সঙ্গোপনে বন্ধুদের, বেড়ার এ'পারে।
এখনও দুচোখে ভাসে স্রোতস্বিনী কর্ণফুলী নদী
সবুজ ধানের ক্ষেত, কাশ আর হিজলের বন
মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ সৃষ্টি হয় যদি
দেখা হবে কোন ক্ষণে, কোন দিন, কোথায়, কখন!
কারা যেন অধিকার তুলে দিল অন্য কার হাতে
নবীনের ধ্বজা আজ উড্ডীন বাদল বাতাসে
এমনই প্রত্যাশা ছিল। এমনই উজ্জ্বল কল্পনাতে
পুরানোরা ঝরে পড়ে, নতুন ফুলের দল হাসে।
তবে মনে রেখো দোস্ত, মানুষ মানুষ ছুঁতে চায়
এ কঠিন দুঃসময়ে দৃঢ় থেকো, সেটুকুই চাই
থাকুক কাঁটার বেড়া, কতটুকু তাতে আসে যায়
তোমায় দেখিয়ে যেন বলতে পারি 'ও আমার ভাই'।
পটচিত্রঃ মণিমালা চিত্রকর
চিত্রঋণঃ অন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত।
পরিচিতি: কবি, নাট্যকার ও নির্দেশক।